নির্বাচিত হাদীসে নববী
নু‘মান ইবন বাশীর থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “পারস্পরিক দয়া, ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মুমিনদের উদাহরণ একটি দেহের মতো। যখন শরীরের একটি অঙ্গ রোগাক্রান্ত হয়, তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত্রি জাগরণ এবং জ্বরে অংশ নেয়।” [সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মু’মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও তার ধনে (বিপদ-আপদ দ্বারা) পরীক্ষা হতে থাকে, পরিশেষে সে আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে নিষ্পাপ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।” [হাসান, সহীহ] - [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।” [সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
তারিক ইবনু আশয়াম আল-আশজায়ী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “যে ব্যক্তি বলল: আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, আর আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য যা কিছুর ইবাদত করা হয় তা অস্বীকার করল, তার জান ও মাল হারাম হয়ে গেল। আর তার হিসাব-নিকাশ আল্লাহর নিকট।” [সহীহ]-[এটা মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]-[সহীহ মুসলিম-২৩]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।” [সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
আবূ মূসা আব্দুল্লাহ বিন কায়স আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার হাত রাতে প্রসারিত করেন যেন দিনের অপরাধীরা তাওবা করে এবং দিনে তার হাত প্রসারিত করেন যেন রাতের অপরাধীরা তাওবা করে, যে পর্যন্ত না পশ্চিম আকাশে সূর্য উঠবে।” [সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর। কেননা কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে।” [সহীহ] - [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা রামযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর।” [সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা সাহরী গ্রহণ করো; কেননা সাহরীতে রয়েছে বরকত।” [সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মাসজিদুল হারাম ব্যতীত আমার এ মসজিদে সালাত আদায় করা অন্য মসজিদে এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম”। [সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী - 1190]